ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের আগে উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে কলাইকুন্ডায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে মোদী এবং মমতার।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনার জন্য মোদি ও মমতার বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাতের দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে নবান্নকে জানানো হয়, বৈঠকে থাকবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ধনখড় এবং দেবশ্রীর নিয়ে কোনও আপত্তি জানাননি মমতা। কিন্তু শুভেন্দু কোন যুক্তিতে থাকবেন, তা নিয়েই বেঁকে বসেন মমতা। পুরো বিষয়টি রাজনৈতিক বৈঠকে পরিণত করার জন্যই শুভেন্দুকে ডাকা হয়েছে বলে মনে করছেন মমতা। সে বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদির কার্যালয়কে জানানো হয়েছে।
তৃণমূলের বক্তব্য, শুভেন্দুকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিজেপি। কিন্তু তা তো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তাহলে কোন যুক্তিতে শুভেন্দুকে ডাকা হল?
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে বিধায়ক হিসেবে যদি শুভেন্দুকে ডাকা হয়, তাহলে জেলার বাকি বিধায়কদের কেন বৈঠকে ডাকা হবে না কেন? সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী মোদির বৈঠকে নাও যেতে পারেন। পরিবর্তে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে যেতে পারেন বলে একটি অংশের তরফে দাবি করা হয়েছে।